জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

নজর২৪, ঢাকা- ভুল আসামি হিসেবে বিনা দোষে তিন বছর জেল খাটা জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছন হাইকোর্ট। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এক মাসের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে এ টাকা দিতে হবে। আদালতে জাহালমের পক্ষে ‍শুনানি করেন আইনজীবী সুভাষ চন্দ্র দাস ও শাহিনুর রহমান। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

ব্র্যাক ব্যাংককে বলা হয়েছে, রায়ের কপি হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে জাহালমকে ওই ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আর টাকা দেয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে তা লিখিতভাবে জানাতে হবে।

একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো লোকটির বয়স ৩০-৩২ বছরের বেশি না। পরনে লুঙ্গি আর শার্ট। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারকের উদ্দেশে তাকে বারবার বলতে দেখা যায়, ‘স্যার, আমি জাহালম। আমি আবু সালেক না, আমি নির্দোষ।

আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ২৬টি মামলা হয়। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। যিনি পেশায় পাটকল শ্রমিক। যে ঘটনার তদন্ত করে দুদক বলছে, জাহালম নিরপরাধ। একই মত দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও।

পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনটি গত বছরের ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। এরপর হাইকোর্ট জাহালমকে ওই দিনই মুক্তির নির্দেশ দেন। সেই সাথে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে রুলও জারি করেন আদালত । হাইকোর্টের ওইদিনের পরই কারাগার থেকে মুক্তি পান জাহালম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *