নজর২৪, ঢাকা- স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ দিয়ে যারা ধর্ষণকে বৈধতা দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন- আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী আছে? তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ দিয়ে যারা ধর্ষণকে বৈধতা দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। না হলে আমাদের মা-বোনরা এ দেশে স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পাবে না।’
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত পদযাত্রা শুরুর আগ মুহূর্তে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, সর্বশেষ সিলেটের এমসি কলেজে ঘটনা ঘটল। কিন্তু ঘটনাগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। আমরা খুব লজ্জিত হই যখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণের ঘটনা কোন দেশে না ঘটে। এসব কথা বলে বাংলাদেশে ধর্ষণের বৈধতা দিতে চান।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বলেছিল, স্বাধীনতাবিরোধী যারা তারা ছাড়া অন্য কেউ যদি ধর্ষণের শিকার হয় তবে তাদের বিচারের দাবিতে ছাত্রলীগ মাঠে থাকবে। আমার প্রশ্ন- আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী আছে? তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগ দিয়ে যারা ধর্ষণকে বৈধতা দিতে চায়- তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। না হলে আমাদের মা-বোনরা এ দেশে স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পাবে না।’
ভিপি নুর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা বলেছেন, যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আমরা ক্রসফায়ার দিতে চাই। আমি বলব, আপনাদের মতলব ভালো নয়। ক্রসফায়ারের নাম করে আপনারা এ পর্যন্ত তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই একদম নিরপরাধ, নিরীহ মানুষ। মূলত এ সরকার ক্রসফায়ারকে ক্ষমতায় থাকার একটি পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, ‘আজকে এখানে আপনারা যারা তরুণরা দাঁড়িয়ে আছেন- তারা একদিন বাবা হবেন। এসব ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে আপনার সন্তানরাও নিরাপদ থাকবে না। আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে আইন ও সালিশকেন্দ্র বলেছে, গত আট মাসে ৮৮৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ১১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এই যে ১১১টি ধর্ষণের ঘটনা এর মধ্যে কয়টি ঘটনার বিচার হয়েছে? রাজনৈতিক প্রভাবে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। যেখানে আইনে বলা আছে, ৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে। কিন্তু এই ধর্ষণের বিচার হতে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।’