নজর২৪ ডেস্ক- বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী রায়ের পর হাসতে হাসতে আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজনভ্যানে ওঠেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা সব আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিলাম। অতীতে যা হয়েছে তা আল্লাহ করেছেন আর ভবিষ্যতে যা হবে সেটাও আল্লাহই করবেন।’
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নেয়ার সময় প্রিজনভ্যানে ওঠার মুহূর্তে এসব কথা বলেন রিফাত ফরাজি। তবে আশপাশের শব্দের কারণে তার বাকি বক্তব্য স্পষ্ট শোনা যায়নি।
এ সময় শুধু আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন ব্যতীত বাকি সাজাপ্রাপ্তরা স্বাভাবিক ছিলেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শাসিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির নির্দেশ দেন আদালত। বাকি চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), মো. হাসান (২০) ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)। আসামিদের মধ্যে মো. মুসা পলাতক আছেন। মুসা ছাড়া অন্য আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এছাড়াও মামলার অপর চার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), মো. সাগর (২০), মো. মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২) খালাস দেওয়া হয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড (২৫) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় তাকে চার্জশিটেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে রিফাত ফরাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
একই ঘটনায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামি যশোরে কিশোর সংশোধনাগারে আছে। শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।