নজর২৪ ডেস্ক- অবশেষে মাঝারি ও সরু চালের পাইকারি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চালকল মালিকদের এক বৈঠক শেষে এ দাম নির্ধারণ করা হয়।
আজ বুধবার থেকে দেশের সব চালকল মালিককে নতুন দামে চাল বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন দামে চাল বিক্রি নিশ্চিত করতে আজ বুধবার থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ও খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালাবেন। এখন মোটা চাল তেমন অবশিষ্ট নেই- যুক্তি তুলে ধরে কোনো মিলগেট এর দাম নির্ধারণ করা হয়নি।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতিকেজি সরু মিনিকেট চাল ৫১ টাকা ৫০ পয়সা ও প্রতি ৫০ কেজির বস্তা দুই হাজার ৫৭৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। মাঝারি মানের চাল প্রতিকেজি ৪৫ টাকা ও বস্তা দুই হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, ‘চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় আমরা চালকল মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই দাম নির্ধারণ করে দিলাম। যদি কেউ তা না মানে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’
বৈঠকে চালের চালের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। তবে সাধারণভাবে মিলগেট থেকে খুচরা বাজারে চালের দাম এক থেকে দুই টাকা বেশি হয়। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরা ৫৩ টাকার ওপরে কোনো চাল বাজারে বিক্রি করতে পারবেন না বলে সভায় আলোচনা হয়। তবে এ দামও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে এই সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলেও আলোচনা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাল ব্যবসায়ীরা এই দামে চাল বিক্রি না করলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরু চাল আমদানি করা হবে।’ অবশ্য তিনি নিজেও পারিবারিকভাবে একজন চালকল মালিক।
কয়েকদিন আগে চালকল মালিকদের সাথে বৈঠক করে সাধন চন্দ্র বলেছিন, ১৫ দিন আগে বাজারে চালের যে দাম ছিল, সেই দামে পুরো অক্টোবর মাস চাল বিক্রি করতে হবে। চালকল মালিকদের এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু পরে চালকল মালিকদের সাথে পুনরায় আলাপ করে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে তিনি চালের এই দাম নির্ধারণ করে দেন।
সভায় চাল ব্যবসায়ীরা খাদ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, তারা গত ১৫ দিন আগে চালকলগুলো থেকে ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল ২৫৫৫ টাকায় কিনেছেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, একশ্রেণির অসাধু চালকল মালিক অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রেখেছেন। এ কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। আমার নিজের নির্বাচনি এলাকা নওগাঁয় হাজার হাজার টন ধান মজুদ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকদের কাছে ২ শতাংশও ধান নাই। গোপন জরিপ করে প্রায় ৫০টা মিলের খোঁজ পেয়েছি। এসব মিলে কমপক্ষে ২০০ টন থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টন ধান মজুদ রয়েছে। এমনকি ৫০০ টন চালও মজুদ রয়েছে। আড়তদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রেখেছে।