নজর২৪, সিলেট- কয়েকদিন আগেও বড় বড় দাড়ি আর মাথা ভর্তি চুলে ছিলো। কিন্তু ধর্ষণের মামলার আসামি হওয়ার পরপরই গ্রেফতার এড়াতে দাড়ি ও চুল কেটে সেই ছাত্রলীগ কর্মী তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ নিয়েছেন নতুন এক ছদ্মবেশ।
হঠাৎ করে দেখে চেনার উপায় ছিল না। তবে শেষ রক্ষা হয়নি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলার এই দুই নম্বর আসামির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমানগঞ্জের দিরাই থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার এড়াতে মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া হন তারেক। ক্লিন শেভ করে বড় বড় দাড়িও ফেলে দেন তিনি। গ্রেফতারের সময় তারেক খালি গায়ে লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছিলেন। এমন ছদ্মবেশী তারেককেই অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারেকসহ এই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বরমা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল তারেক। গোপন সংবাদে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবারের এই ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার নির্যাতিতা তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, এমসি কলেজের প্রধান ফটক থেকে তাদের জিম্মি করে যারা ধরে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে তারেকুল ইসলাম তারেকও ছিলেন। এসময় নির্যাতিত দম্পত্তির প্রাইভেট কারের দখল নেন তারেক। তিনি প্রাইভেট কার চালিয়ে তাদের ছাত্রাবাসে নিয়ে আসেন। এরপর ধর্ষণ ও নির্যাতনেও অংশ নেন তারেক।
এই মামলার অন্য আসমিদের মধ্যে সোমবার রাত ১১ টায় জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর থেকে এই মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। এরআগে রোববার সকালে ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান ও মাধবুপর থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোবার রাতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
একই রাতে হবিগঞ্জ সদর থেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই রাতেই সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. আইনুদ্দিন ও মো. রাজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। এজাহারে নাম না থাকলেও এই ঘটনার পর থেকে আইনুদ্দিন ও রাজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরাও এ ঘটনায় আইনুদ্দিন ও রাজন জড়িত বলে জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া সকলেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।