নজর২৪, ঢাকা- নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্তেম্বর) দুপুরে সংস্থার পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম তাকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের আগে রাজ্জাকসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা মামলা করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার-সিএমএইচডি’র উপপরিচালক জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যদের সুরক্ষায় এন-নাইনটি ফাইভ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-নাইনটি ফাইভ নামে ২০ হাজার ৬০০ মাস্ক সরবরাহ করে। পরবর্তীতে দেখা যায়, ওই মাস্কগুলো প্রকৃত এন-নাইনটি ফাইভ নয়।
গত ১০ জুন থেকে দুদক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।
মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ১২ ও ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এছাড়া, মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে এর আগে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে সিএমএসডির ছয় কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।