আজারবাইজানে চার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে তুরস্ক, নিহত ৮১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- আর্মেনিয়া-আজারবাইজান ভয়াবহ যুদ্ধাবস্থার মধ্যেই মিত্র আজারবাইজানে ৪০০০ যোদ্ধা পাঠাল তুরস্ক। বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে লড়াইয়ের জন্য উত্তর সিরিয়ার থেকে ৪ হাজার যোদ্ধাকে আজারবাইজানে পাঠিয়েছে তুরস্ক। সোমবার ইন্টারফেক্স নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ায় নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত। খবর রয়টার্সের।

 

আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, নাগোরনো-কারাবাখের যুদ্ধে অংশ নিয়েছে যোদ্ধারা। অঞ্চলটি আজারবাইনের; কিন্তু আর্মেনিয়ার সহায়তায় দখল করে আছে আর্মেনীয় আদিবাসীরা।

 

করোনা মহামারীর মধ্যেই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে চার দশকের বিবাদের জেরে রোবববা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। যুদ্ধে সোমবার রাত পর্যন্ত ৮১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নাগোর্নো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ।

 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের প্রথম দিনে ২৮ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় নতুন করে নিহতের সংখ্যা ২৭ জন বলে জানায় কারাবাখ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার রাতে আরও নতুন করে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

 

কারাবাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে জানিয়েছে, যুদ্ধে মোট ৯ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন আজারবাইজানের ও ২ জন আর্মেনিয়ার। তবে আজারবাইজান কোনো সামরিক হতাহতের খবর প্রকাশ করেনি।

 

আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকর্তাদের প্রকাশিত ফুটেজ দেখা গেছে, আগুনে পোড়া সাঁজোয়া যানবাহন এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে থাকা রক্তাক্ত সেনারা পড়ে রয়েছে। ওই সেনারা আজারবাইজানের বলে জানিয়েছে তারা।

 

গত রবিবার বিতর্কিত নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনী। আর্মেনিয়া দাবি করেছে, আজারবাইজানই প্রথমে বিমান এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আজারবাইজান বলছে, তারা আর্মেনিয়ার হামলার জবাবে পাল্টা হামলা করেছে।

 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে বলেন, তুরস্ক বন্ধু রাষ্ট্র আজারবাইজানের সঙ্গে রয়েছে। আর্মেনিয়া আগে হামলা শুরু করলে আজারবাইজান জবাব দিয়েছে। এর জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেন এরদোয়ান।

 

জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো দুই দেশকে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এ নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *