নজর২৪, বগুড়া- বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতার গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের ১০০ মন (৫১ বস্তা) চাল ও গরীবের ১৩০টি কার্ড জব্দ করেছেন ধুনটের সহকারী কমিশনার (ভূমি)এ।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল রনী অভিযান চালিয়ে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বাবু বাজার এলাকায় গুদামে থেকে চাল ও কার্ড জব্দ করেন।
এরমধ্যে উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নবাব আলীর মেসার্স তিন ভাই ট্রেডার্স এন্ড সেমি অটোরাইচ মিলের গুদাম থেকে দশ টাকা কেজির ১০০ মন (৫১ বস্তা) চাল এবং একই স্থানে নিমগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাদি মণ্ডলের দশ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ১৩০টি কার্ড জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয়ের পরিবেশক (ডিলার) আবদুল হাদি মন্ডল। তার অধীনে ৭১০টি কার্ড রয়েছে। তিনি সেপ্টেম্বর মাসের ৭১০টি কার্ডের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২১ হাজার ৩০ কেজি চাল ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে উত্তোলন করেন। এরপর বাবুবাজার এলাকায় বিক্রয় কেন্দ্র থেকে কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিক্রি করছেন। আজ দ্বিতীয় দিনের চাল বিক্রিকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হাদির চাল বিক্রয় কেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে রক্ষিত ১৩০টি কার্ড জব্দ করেন। একই সময় আওয়ামী লীগ নেতা নবাব আলীর মালিকানাধীন গুদামে অভিযান চালিয়ে ১০ টাকা কেজি দরের ১০০ মণ চাল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নবাব আলী বলেন, ‘আমার গুদামে রক্ষিত ১০০ মণ চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল না। এগুলো আমার মিলে ব্যবসায়িক ধান ভাঙ্গিয়ে এই চাল বস্তায় ভরে রাখা হয়েছে। কিন্তু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আমার গুদামে অভিযান চালিয়ে চাল জব্দ করেছেন প্রশাসন।’
১০ টাকা কেজির চালের ডিলার আবদুল হাদি মন্ডল বলেন, ‘১৩০টি কার্ডের নাম পরিবর্তন করার জন্য উপজেলা খাদ্য বিভাগের নির্দেশে আমার কাছে রেখেছিলাম। এসব কার্ডের নাম পরিবর্তন করে কার্ডধারীদের দেওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে আমার কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’
ধুনট উপজেলা সহাকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আলী রনী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০ টাকা কেজি দরের চাল সন্দেহ ৫১ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিলারের কাছে অবৈধভাবে রাখা ১৩০টি কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।‘