নজর২৪, ঢাকা- অস্ত্র মামলার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ ওরফে মো. সাহেদ করিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে সাহেদ করিম সম্পর্কে রায় পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘তিনি খুবই চতুর ও ভদ্রবেশী অপরাধী’।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত কেএম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। এই আইনের অপর ধারায় সাহেদকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন– উভয় ধারা একসঙ্গে কার্যকর হবে।
আলোচিত এ মামলার রায়ে আদালত দুটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে- সাহেদ ধুরন্ধর। যে গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি যে তার তিনি স্বীকার করেননি। গাড়িটি পূবালী ব্যাংক থেকে ২০ লাখ টাকা লোন নিয়ে কেনা হয়েছিল। পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেয়ার পর গাড়ি যে সাহেদের সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আমাদের সমাজে সাহেদের মতো ভদ্রবেশী অপরাধীদের জন্য এ রায়টি একটি বার্তা হয়ে থাকবে।
সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম কোনো মামলার রায় এটি। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘সাহেদ যে অপরাধী তা মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়েছে। এই রায় সমাজে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।’
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, ‘সাহেদ নিজ হেফাজতে অবৈধ পিস্তল রাখায় যাবজ্জীবন ও গুলি রাখায় সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
তবে সাহেদের আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’