নজর২৪ ডেস্ক- বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুবে আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার পর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তার লাশ রাজধানী মিন্টো রোডের অ্যাটর্নি জেনারেলের সরকারি বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে লাশ ঘিরে এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে মাহবুবে আলমের লাশ নিয়ে তার বাসা থেকে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় তার স্ত্রী বিনতা মাহবুব গাড়ির কাছে দৌড়ে আসেন।
অঝোরে কাঁদতে থাকেন। বিদায়বেলায় তিনি লাশবাহী গাড়ি ধরে বারবার বলতে থাকেন– ‘ক্ষমা করে দিও, ক্ষমা করে দিও তুমি; আমাকে ক্ষমা করে দিও।’ এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
তিনি গাড়ি ধরে বারবার ক্ষমা চাইতে থাকেন। আর প্রয়াস স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলতে থাকেন– ক্ষমা করে দিও।… পরে স্বজনরা এসে বিনতা মাহবুবকে সরিয়ে নিয়ে যান। লাশবাহী গাড়ি সামনের দিকে যাওয়ার সময় বিনতা মাহবুব স্বামীর জন্য দোয়া পড়তে থাকেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাটর্নি জেনারেল জ্বর অনুভব করেন। শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০ সেপ্টেম্বর তার করোনা নেগেটিভ হলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।