নজর২৪, ঢাকা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদ্য সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হককে ‘দেশের শত্রু’ বলেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান। এ সময় তিনি নুরদের সংগঠনকে ‘ধর্ষণ অধিকার পরিষদ’ হিসেবে উল্লেখ করে নুরুলদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২৭ সেপ্টম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আয়োজনে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ, সাভার, খাগড়াছড়িতে ঘটে যাওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করা হয়৷ জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৩০ দিনের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায় তারা।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আজকে আমার বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার মিডিয়ার সামনে এসে বলছেন- তার নিজ সংগঠনের ভাইয়েরা তাকে ধর্ষণ করেছে। ফেসবুকে লাইভে এসে আমার বোনকে পতিতা বলে প্রচারের ভয় দেখানো হয়। মামলার পর তারা আবার ধর্ষকের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে বিক্ষোভ করে। কত বড় স্পর্ধা এদের। ছাত্রলীগ তাদের ছেড়ে দেবে না। ফেসবুকে অপপ্রচার না করে সাহস থাকলে সামনে আসেন।
তিনি বলেন, নুর ডাকসুর যত ভিপি আছে, সবার মর্যাদাহানি করেছে। গুজব বাহিনী দ্বারা তিনি ডাকসুর ভিপি হয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দেখা যাচ্ছে এই নাটকবাজ নুর সবাইকে ভুল বুঝিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। নুরু গংরা শিবিরদের নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ গঠন করেছে, কিসের ছাত্র অধিকার পরিষদ? অপনারা তো এখন দেখছি ধর্ষক অধিকার পরিষদ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটিতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ আরও পাঁচ জনকে সহযোগিতার আসামি করা হয়।
এই প্রসঙ্গে সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘’নুর ডাকসুর সাবেক সকল ভিপির মর্যাদা হানি করেছে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রীকে `পতিতা` ডেকেছে। এই ধর্ষকের কোনো দল নেই।’’
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান গণফোরামের সভাপতি ও আইনজীবী ড. কামাল হোসেনকেও ‘দেশের শত্রু’ বলেন। তিনি বলেন, ‘ভিপি নুরুল ও কামাল হোসেনরা দেশের শত্রু। এই দেশের শত্রুদের দেশে থাকার দরকার নেই।
ধর্ষণ করবে আর কামাল হোসেনরা বলবে যে আইনি সহায়তা দেব—এ ধরনের সহায়তা যারা দেয়, তাদের বয়কট করতে হবে। আইনের ছাত্র হিসেবে এতে আমি লজ্জিত। এ ধরনের নেতারা একসময় নাকি বাংলাদেশকে স্বীকার করত। কিন্তু আমরা তা বিশ্বাস করি না, কারণ তারা সব সময় পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবেই ছিল। আজকে এগুলো দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও তারা কথা বলে।’