নজর২৪ ডেস্ক- সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত হয়ে ভারত পালাতে চেয়েছিলেন সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান। এ কারণেই রোববার ভোরে ছাতক নোয়ারাই এলাকায় সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান তিনি। খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন ছাতক সার্কেলের এএসপি বিল্লাল হোসেন।
তিনি বলেন, সাইফুরের দাঁড়ি ছিল। তিনি দাঁড়ি কেটে মুখে মাস্ক লাগিয়ে ভোরে সুরমা নদীর খেয়াঘাটে যান। সীমান্ত এলাকায় গিয়ে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন সাইফুর। তাকে পালাতে কেউ সহায়তা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারে তার আত্মীয় আছে কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, সুরমা নদীর খেয়াঘাট এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলছিল। সাইফুরকে ভোর ছয়টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা খেয়াঘাট পার হয়ে অপেক্ষা করতে দেখে সন্দেহ হয়। কাছে যেতেই ছবির সঙ্গে তার মিল পাওয়া যায়। তখন তাকে নাম জিজ্ঞেস করা হয়। এতে তিনি সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। থানায় তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ।
তিনি আরো জানান, এই খেয়া পার হয়ে সীমান্তবর্তী দোয়ারাবাজার উপজেলায় যাওয়ার দুটো পথ আছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বুগলা সড়কপথ। এই সড়কপথ বুগলা গেলে নিরাপদে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করার সুযোগ ছিল সাইফুরের।
ছাতক থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ভোর ছয়টার দিকে সাইফুরকে আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়। এরপর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ছাতক থানা থেকে সিলেটের শাহপরান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম আসামি অর্জুন লস্করকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পথে হবিগঞ্জের মাধবপুর সীমান্তের কাছের একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার ভোর ৬টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকার দুর্বলপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্জুন মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। গ্রেফতারের পর তাকে সিলেটে নিয়ে গেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।