নজর২৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- সকালে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন চালক মনির হোসেন। এ সময় সিটের পেছনে একটি ব্যাগ পান। যার ভেতরে ছিল ১৪ লাখ টাকা। এ টাকায় তিনি স্বাবলম্বী হতে পারতেন। কিন্তু না! সেই টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এ অটোচালক।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়ার মাধ্যমে প্রকৃত মালিক রহিমা বেগমের হাতে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা তুলে দেন মনির হোসেন।
রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের এনামুল হোসেনের স্ত্রী। হারানো টাকা ফেরত পেয়ে তিনি অটোচালক মনির হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রহিমা বেগমসহ ৪জন কাউতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজি অটো যোগে চিনাইর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। তাদের সাথে একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। অটো থেকে নামার সময় ভুলে ব্যাগটি রেখে নেমে যান।
সিএনজি অটো চালক মনির হোসেন শনিবার সকালে সিটের পেছনে ব্যাগ পান। বিষয়টি তিনি তার ফুপা বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে জানান। সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে তিনি বিষয়টি তার আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়াকে জানান।
চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া রবিবার সকালে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেন। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করেন।
চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। শনিবার সকালে অটো পরিষ্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পাই। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি।
চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, যাত্রী রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ফেলে যায়। চালক আমাকে জানালে আমি প্রকৃত মালিক ডেকে এনে তার হাতে টাকাগুলো তুলে দিয়েছি।