মধুপুরে পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী মীর ফরহাদুল আলম মনি

সাইফুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ আসন্ন মধুপুর পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে সর্বত্র ব্যস্ত রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেয়র পদপ্রার্থী ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম (মনি) তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

মধুপুর পৌরসভাকে একটি সৎ জবাবদিহীমূলক, সেবামূলক, কার্যকর এবং ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম (মনি) সকলের নিকট দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।

 

তার ১৯৮৩ সাল হতে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির পথচলা শুরু। ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগ, যুবলীগ থেকে আওয়ামীলীগ। রাজনীতিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, চিকিৎসা পেশাসহ নানামুখী কর্মকান্ডের ৩৭ বছরের কর্মজীবন। রাজনৈতিক জীবনে প্রতিপক্ষের দ্বারা হামলা/মামলার শিকার হয়েছেন। ২০০৪ ইং সালে বিএনপি সরকারের সময় চাকুরি ছেড়ে দিতে বাধ্যও হয়েছেন। তবুও তিনি তার দল ছাড়েন নাই। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দল এবং জনগন উভয়ের উপর আস্থা রেখে আজও পর্যন্ত তিনি দলবল, ধর্মবর্ণ, ধনী-গরীব, ছোটবড়, নারীপুরুষ সকলকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী ডাঃ মীর ফরহাদুল আলম (মনি) বলেন, “শ্রদ্ধ্বেয় পৌরবাসী, শোডাউন, মহড়া কিংবা শক্তি প্রদর্শনীর রাজনীতি করিনা। করতেও চাইনা। গণমানুষের সেবাদেয়ার রাজনীতি করেছি, ভবিষ্যতেও তাই করতে চাই।দলবল, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আপনাদেরকে ভালোবাসতে চাই, আপনাদের ভালোবাসা চাই, সমর্থন চাই। কিছু না পেলেও আজীবন যেন মানুষের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যেতে পারি তার জন্য আপনাদের দোয়া চাই। আমি আমার নেত্রীর কথা সবসময় মনে রাখি ভোগেই সুখনা, ত্যাগেই সুখ।”

 

তিনি আরও বলেন, “৩৭ বছরের এই রাজনৈতিক জীবনে কখনও দল ত্যাগ না করলেও রাজনৈতিক কোন পুরষ্কার এখনও আমার কপালে জোটে নাই। আমি দলের ত্যাগী এবং বঞ্চিতদের একজন। তারপরেও আমার প্রিয়নেত্রী দেশরত্ন, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার রাজনৈতিক অভিভাবক, মধুপুর-ধনবাড়ির মানুষের প্রিয় নেতা কৃষিমন্ত্রী জনাব ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের উপর আমার পূর্ণআস্থা এবং অগাধ বিশ্বাস আছে এইবার উনারা আমাকে পৌরসভায় মেয়রপদে দলীয় মনোনয়ন দিবেন।”

 

উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর তিনবার তকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়। ২০০৯ সালে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ৫ বছর জনগণকে সততা এবং নিরপেক্ষতার সাথে সেবা দিয়েছেন তিনি। ডাঃ মনিকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে বলে মধুপুর পৌরবাসী মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *