সাইফুল ইসলাম মুকুল, রংপুর ব্যুরো- দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রংপুরেও দুইদিন ধরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে করে তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী নদী বিধৌত নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়েছে আবাদি জমি। কোথাও কোথাও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। আর রংপুর নগরীর অলিগলিসহ বিভিন্ন সড়কে ও পাড়া-মহল্লায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
এতে ১শ বছরের রেকড ভাঙ্গলো এ বৃষ্টিপাতে বলছে আবহাওয়া অফিস। শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৩টি ওয়ার্ড হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে নিম্নাঞ্চল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার ও রবিবারের বৃষ্টিপাতে নগরীর অনেক এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরীর হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও বৃষ্টিতে নদী বেষ্টিত গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া, পীরগাছা ও পীরগঞ্জের অনেক নিচু এলাকায় মাছের ঘের, খাল-বিল, পুকুর ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
রংপুর নগরীর স্টেশন রোড সংলগ্ন পীরপুর রোড আজাদ গ্যারেজের সামনে ও আলমনগর খামারপাড়া, বাবুখাঁ, মুলাটোল থানা রোড, লালবাগ কেডিসি রোড, লালবাগ হাট সংলগ্ন গলি ও ধাপ এলাকার অধিকাংশ নিচু রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাসা-বাড়ির ভিতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এতে সড়কে পাড়া-মহল্লায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। শরৎ ঋতুতে হঠাৎ হঠাৎ মেঘ ঝড়া আশ্বিনের বৃষ্টি কারো জন্য স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে।
রংপুর নগরীর গনেশপুর এলাকার অন্নিকা ইসলাম রিতু জানান, রংপুরে পানি নিষ্কাশনের জন্য এখনো পর্যাপ্ত ড্রেন তৈরি হয়নি। পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট খালগুলো ভরাট আর দখলদারিত্বের কবলে পড়ায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই তার বাড়ির আশপাশসহ নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকাতে জলাবদ্ধতা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবারের বৃষ্টি ১শ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গলো শনিবার রাত থেকে ৪শ ৩৩ মিলিমিটার রেকড করা হয়েছে। এর আগে ১শ বছরে আগে ৩শ ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। আরো কয়েকদিন ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্র বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।