দুর্ভোগের আরেক নাম ঘাটাইলের ‘সাগরদিঘী সড়ক’

খাদেমুল ইসলাম মামুন, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী গুপ্তবৃন্দাবন সড়কের সংস্কার কাজ ধীর গতিতে চলায় চরম দুভোর্গ পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। চার রাস্তা মোড় থেকে দুইশ গজ দক্ষিনে সাগরদিঘী-ঘাটাইল সড়ক, এবং সাগরদিঘী-গুপ্তবৃন্দাবন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

 

রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করা এবং অতিরিক্ত মাল বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে উপজেলার এই সড়ক যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণভাবে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসি।

 

উপজেলার এই পাহাড়ি এলাকায় শতকরা ৮০ জন কৃষক লেবু, কলা, বেগুন, পেপে, লাউ, কাচা মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার কাচা সবজি সাগরদিঘী বাজার হয়ে ভরাডোবা সড়ক হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এই সড়কে দুই শতাধিক মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় বড় বড় গর্ত ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে কাচামাল নষ্ট হয়ে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে পাহাড়ি এলাকার কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাগরদিঘী-গুপ্তবৃন্দাবন সড়কে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইনে মালবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সাধারণ মানুষ পর্যন্ত চলাচলের কোন উপায় নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ট্রাক চালকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, গতকাল থেকে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। সামনে রাস্তায় বড় দুটি মালবাহী ট্রাক আটকে আছে। রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।

 

জানাযায়, ২০১৯ সালে কামালপুর থেকে গুপ্তবৃন্দাবন পর্যন্ত ১১ কি:মি: রাস্তার সংস্কার কাজের জন্য ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ পায় ভাওয়াল কনস্ট্রাকশন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

 

কাজের ধীরগতির কারণ জানতে চাইলে ভাওয়াল কনস্ট্রাকশনের স্বত্তাধিকারী ফকরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, রাস্তার যে অংশে বেশি সমস্যা সেখানে আরসিসির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখনো টেন্ডার পাশ হয়নি। টেন্ডারের প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু করবো। তাছাড়া বাকি রাস্তার কাজের মেটেরিয়াল থেকে শুরু করে আমাদের প্রায় সব কিছু প্রস্তুত। কিন্তু বর্ষা থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। একটু শুকালেই কাজ শুরু করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *