ভারতে শুধু মুসলিমরাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছে: ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার ইসলামবিদ্বেষকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিলে নয়া দিল্লির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন।

 

বাবরি মসজিদ ধ্বংস থেকে শুরু করে গুজরাত দাঙ্গা, দিল্লির সংঘর্ষ— একের পর এক উদাহরণ দিয়ে অভিযোগ তুললেন, ভারতে শুধু মুসলিমরাই নির্যাতনের শিকার।

 

শুক্রবার ইমরান বলেন, ‘‘নাৎসিদের বিদ্বেষের লক্ষ্য ছিলেন ইহুদিরা। আরএসএসের নিশানা মুসলিমরা। খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রে কিছুটা কম। গাঁধী-নেহরুর ধর্মনিরপেক্ষতার বদলে এখন এসেছে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন। যেখানে লক্ষ্য হল, মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের শাসন করা, এমনকি মুছে ফেলা।’’

 

ইমরানের অভিযোগ, দিল্লির সংঘর্ষে নিশানা করে মারা হয় মুসলিমদের। গুজরাত দাঙ্গায় সংখ্যালঘুদের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘এটা হয়েছিল (তৎকালীন) মুখ্যমন্ত্রী মোদীর শাসনে।’’ ইমরানের বক্তব্য, অভূতপূর্ব ভাবে ‘হিন্দুত্বের আদর্শে’ ৩০ কোটি মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখেদের নির্যাতন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতেও মোদী সরকার বৈষম্যমূলক নীতি নিয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি জানান, ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে মুসলিমদের। অথচ তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা পাননি।

 

বরাবরের মতো কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ ঘিরে বাহিনীর জুলুমের অভিযোগ তুলেছেন ইমরান। ‘মানবতা-বিরোধী অপরাধে’ ভারতের সামরিক-অসামরিক কর্তাদের বিচার চেয়েছেন।

 

অভিযোগ করেছেন, কাশ্মীরের জনবিন্যাস পাল্টে দিতে চাইছে মোদী সরকার, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বের নজর ঘোরাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা দেখিয়ে ‘বিপজ্জনক খেলা’ খেলছে ভারত। কিন্তু ‘ফ্যাসিস্ট আরএসএস নেতৃত্বাধীন’ ভারত সরকার ‘অপচেষ্টা’ করলে পাকিস্তানও লড়তে তৈরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *