নজর২৪ ডেস্ক- সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনার অন্যতম হোতা ছাত্রলীগ নেতা এম. সাইফুর রহমানের রুম থেকে দেশিয় ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শাহপরাণ থানা পুলিশ এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। এসময় সাইফুরের রুম থেকে ১টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪টি রামদা, ১টি ছোরা ও জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও সাইফুর অবৈধভাবে ছাত্রাবাসে অবস্থান করতো। তার সহকর্মীদের নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস, টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় ছিনতাই, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাতে বন্ধ ছাত্রাবাসে নিয়মিত জুয়া ও মাদকের আসর বসাতো এমন অভিযোগও রয়েছে সাইফুরের বিরুদ্ধে।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে অভিযান চালানো হয়। এসময় সাইফুর রহমানের রুম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও ছোরা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসেন দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির এক তরুণী। এসময় স্বামীসহ ওই তরুণীকে সাইফুর ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ কর্মীরা পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসে তুলে নেন। পরে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ করেন তারা।
খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে। পরে তরুণীটিকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার পর পুলিশ অভিযানে নামলেও সকাল পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় সাইফুরসহ ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ৬ নেতা ও অজ্ঞাত আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।