অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- চলতি বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৬০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ৭টি সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন এ গুলো মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ অফিস সূত্র জানায়, জেলায় তাদের অধীনে ৬’শ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় ১৪টি সড়কের প্রায় ৬০ কিলোমিটার নষ্ট হয়ে গেছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ৭টি সড়ক হচ্ছে মির্জাপুর-ঊয়ার্শী-বালিয়া সড়ক, আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর সড়ক, কালিহাতী-রতনগঞ্জ-সখিপুর সড়ক, লাউহাটি-দেলদুয়ার-সাটুরিয়া সড়ক, বাউশী-গোপালপুর সড়ক, ডুমুরিয়া-সলিমাবাদ, ভাতকুড়া-বাসাইল-সখিপুর সড়ক।
এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার ৭টি সেতু ও এ্যাপ্রোচ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বন্যার পানির তীব্র স্রোত ও পানির নিচে দীর্ঘদিন সড়ক তলিয়ে থাকায় এ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাগুলোয় ভারী যানবাহন চলাচলে ব্যাপক অসুবিধা দেখা দিয়েছে। যাতায়াতকারী মানুষের ভোগান্তি চরমে।
রতনগঞ্জ থেকে সখিপুর ও কালিহাতীতে যাতায়াতকারী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার চালক সোহলে রানা, রুবেল মিয়া বলেন বন্যায় কয়েকটি স্থানে ভেঙে গেছে। গাড়ী নিয়ে যেতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। লাট মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী বলেন রতনগঞ্জ সখিপুর রাস্তার দুই তিনটি স্থানের অবস্থা খুব খারাপ। বড় যানবাহন চলাচলের সময় চাকা ডেবে যায়।
সড়কে যাতায়াতকারী ভোগান্তির শিকার মানুষেরা বলেন চলাচলে আমাদের যে কতটুকু অসুবিধা হয় সেটা আমরাই জানি। কবে রাস্তা ঠিক হবে?
এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। স্থায়ী মেরামতের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া বিভাগীয় মেরামতের মাধ্যমে সাময়িকভাবে যান চলাচল সচল রাখা হয়েছে।