নজর২৪ ডেস্ক- সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূ স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের ৬ নেতা ও অজ্ঞাত আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার আসামিরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, এম সাইফুর রহমান, অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
তাদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রনি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
জানতে চাইলে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যেতির্ময় সরকার জানান, নববধূ স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী বাদি হয়ে নগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানায় মামলা (নম্বর ২১) দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছ তাদের মধ্যে সাইফুর রহমান নামে একজনের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে ওই ছাত্রাবাসে সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে বলে ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার কলেজটির ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড় কেন্দ্রিক রনজিত গ্রুপের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।