নুর ধর্ষক নয়, ধর্ষকদের বিচার না করায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে: মামলার বাদী

নজর ডেস্ক- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর ধর্ষক নয়, ধর্ষকদের বিচার না করায়, মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন মামলার বাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

 

রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালী থানায় করা দুটি মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগকে ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত করে, নুরসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

 

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বাদী জানান, মামলা করতে তাকে কেউ প্ররোচিত করেননি। কোনো রাজনৈতিক দলের প্রভাবেও মামলা করেননি।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হওয়ার পরও, প্রক্টরের কাছে অভিযোগ না দিয়ে মামলার প্রশ্নে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি এই শিক্ষার্থী।

 

উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে গত ২১ সেপ্টেম্বর লালবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। একই অভিযোগে তিনি রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন। প্রতিটি মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ তার সহযোগীদের আসামি করা হয়।

 

লালবাগ থানায় করা মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘আসামি হাসান আল মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি আমার ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সুবাধে আমার সঙ্গে পরিচয় হয়।’

 

‘২০১৮ সালের ২৯ জুলাই আসামি আমার বিভাগের সিনিয়র হওয়ায় তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্কের একপর্যায়ে আসামির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এর ধারাবাহিকতায় আসামির সঙ্গে আমার বিভিন্ন সময়ে ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথোপকথন হয়। সেখানে আসামি আমাকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি গত ৩ জানুয়ারি অনুমান দুপুর ২টায় তার বাসা নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় যেতে বলে এবং আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার বাসায় ধর্ষণ করে।’

 

এজাহারে আরো বলা হয়েছে, ‘ঘটনার পর গত ৪ জানুয়ারি আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। ১২ জানুয়ারি আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মামুনের বন্ধু সোহাগের মাধ্যমে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমি ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে মামুন ও সোহাগ তা হতে দেয়নি। এর আগে মামুনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে রাজি হয়, কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর সে নানা টালবাহানা শুরু করে।’

 

‘এরপর উপায়ান্তর না দেখে গত ২০ জুন বিষয়টি ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানাই। সে বলে, মামুন আমার পরিষদের, আমার সহযোদ্ধা। তার সঙ্গে বসে একটা সুব্যবস্থা করে দেব। এরপর ২৪ জুন মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে তিনি আমার সঙ্গে নীলক্ষেতে দেখা করতে আসেন। কিন্তু মীমাংসার বিষয়টি এড়িয়ে আমাকে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। আমি যদি বাড়াবাড়ি করি তাহলে তার ভক্তদের দিয়ে ফেসবুকে আমার নামে উল্টাপাল্টা পোস্ট করাবে এবং আমাকে পতিতা বলে প্রচার করবে বলে হুমকি দেয়। তাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ১.১ মিলিয়ন সদস্যের গ্রুপে এ প্রচারণার হুমকি দেওয়া হয়।

 

নুর আরো জানায়, তার একটি লাইভে আমার সব সম্মান চলে যাবে। ইতোমধ্যে মামলার চার নম্বর আসামি সাইফুল ইসলাম আমার নামে কুৎসা রটিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *