নজর২৪ ডেস্ক- করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বেড়ানোর জন্য বিভিন্ন শর্তে উন্মুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। ইতিমধ্যে পুরোনো রুপে ফিরতে শুরু করেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতটি।
আজ শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতের সবকটি পয়েন্টে পর্যটকের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। তারা বলছেন, করোনায় ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্ত সৈকতে এসে নতুন কোরে প্রাণ পেয়েছেন তারা। সাগর উত্তাল থাকায় তীরে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।
বৈরি আবহাওয়া, উত্তাল সাগর। হঠাৎ বৃষ্টি আবার রোদ। এর মধ্যেই দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। সবাই মেতেছেন সৈকতের নোনাজলে। সৈকতের ঢেউ, বালিয়াড়িতে নিজেকে স্মরণীয় করতে ফ্রেমে বন্দিতে ব্যস্ত সবাই।
পর্যটকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় পর করোনার ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্ত সৈকতে যেন প্রাণ ফিরেছেন। এক পর্যটক বলেন, শরীয়তপুর থেকে আমরা এসেছি। এখানে এসে খুব ভাল লাগতেছে। এখানে এসে মনে হয় না যে বাংলাদেশে করোনা আছে।
আরেক পর্যটক বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর একটা রিফ্রেশমেন্টের জন্য কক্সবাজার এসে ভালই লাগছে।
পর্যটকদের আগমনের উপর নির্ভর করে সৈকতের বালিয়াড়িতে রয়েছে সহস্রাধিক শামুক-ঝিনুক ও বার্মিজ পণ্যের দোকান। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বেচা-বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানালেন দোকানিরা।
আর লাইফ গার্ড কর্মীরা জানিয়েছেন, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে সার্বক্ষণিক সতর্ক তারা।
কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ড ইনচার্জ মোহাম্মদ সিরু বলেন, আমরা লাইফগার্ড কর্মীরা সর্বদা সতর্কতার সঙ্গে টুরিস্টদের নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করতেছি। আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি যদি কোনো ধরণের দুর্ঘটনা হয় আমরা লাইফগার্ড কর্মী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিব।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের পর্যটন নির্ভর সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ও শহরকে রেড জোন জানিয়ে সব ধরনের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়া হয়।
গত ১ জুলাই লকডাউন শিথিল করে কক্সবাজার শহরের দোকানপাট খুলে দেওয়া হলেও ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল পর্যটন কেন্দ্রগুলো। জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ১৭ আগস্ট থেকে পর্যটকদের জন্য সীমিত পরিসরে দর্শনীয় স্থানগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।