ভারতের সঙ্গে কিসের বন্ধুত্ব? একতরফা বন্ধুত্ব হয় না: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

নজর২৪ ডেস্ক- পেঁয়াজ আমদানি ইস্যুতে ভারতের সমালোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভারত হঠাৎ অনৈতিকভাবে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। পঁচা পেঁয়াজ পাঠায়। ভারতের সঙ্গে কিসের বন্ধুত্ব? যে বন্ধু আমার স্বার্থ দেখে না, একতরফা- তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে না। শোষকের সঙ্গে শাসিতের বন্ধুত্ব হয় না।’

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীকে গ্রেপ্তার-নিপীড়ন-হয়রানির প্রতিবাদ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘ভিপি নুর সে যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে। তাকে হয়রানি করা যাবে না। সরকার জনগণকে বের হতে দিচ্ছে না। সেজন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে।’

 

এ জাতীয় নীতি কখনো দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, আজকে প্রয়োজন ন্যায়-নীতি ও সুষ্ঠু সুশাসন। সুশাসন না হলে হবে না।’

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘অগণতান্ত্রিক ও অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে জাফরুল্লাহ আরো বলেন, ‘এটা বিনা বিচারে হত্যার শামিল। রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করতে হবে। সরকার নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু তারা অন্ধ হয়ে গেছে। তারা ভুলভ্রান্তি দেখতে পাচ্ছে না। ফলে সবার কণ্ঠরোধ করছে।’

 

সমাজের নানা স্তরে দুর্নীতি পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আজকে দুর্নীতি কোথায় পৌঁছেছে— সবচেয়ে বড় দুর্নীতি সরকার স্বয়ং। এখানে মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণ করে, এখানে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তার চেয়ে বড় দুর্নীতি কী হতে পারে?’

 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক মালেকের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘মালেকের দুই তলা ও সাত তলা বাড়ি, আফজালের ১০টা বাড়ি। হাজার কোটির অনেক বেশি দুর্নীতি। আমি মনে করি, এইগুলো সরকারের দুর্নীতি। সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে।’

 

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। পাপিয়াকে ধরে, ওকে ধরে, বিয়ে খেতে না দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। দুর্নীতি বন্ধ করতে চাইলে আগে নিজের বাড়ি থেকে ঠিক করতে হয়। আমাদেরও সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ করেন। তারপর প্রশ্ন করেন, জাফরুল্লাহ’র এই সম্পত্তি কোথায থেকে অর্জিত হলো। কেবল অন্যেরটা দেখববো, আমারটা দেখবো না— এটা হতে পারে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *