রমনার ডিসি সাজ্জাদুর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভিপি নুর

নজর২৪ ডেস্ক- রাজধানীর রমনা জোনের পুলিশের ডিসি সাজ্জাদুর রহমানকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

 

তিনি বলেন, ‘পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আচরণ এমন আক্রমণত্নাক হয় কিভাবে? প্রমোশন পেতে নজরে আসতে, নাকি কোন অপশক্তির স্বার্থে?’

 

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডাকসু সাবেক ভিপি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে পেইজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অভিযোগ তুলেন।

 

নুরুল হক নুর বলেন, ‘গত ২১ সেপ্টম্বর শাহবাগে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে হেঁটে আসছিলাম। মৎস্য ভবন মোড়ে আসলে শাহবাগ থেকে আমাদের পিছনে পিছনে আসা পুলিশ এবং মৎস্য ভবন মোড়ে আগে থেকে রেডি থাকা পুলিশ এবং সিভিলে থাকা কিছু লোক কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের উপর কাঠের টুকরা, রড, হকিস্টিক দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি পুলিশের কয়েকজনের হাতে চাকু, পিনও দেখা যায়। ’

 

‘হামলার আগে মিছিলটি দাঁড় করালে আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মীরা রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমানের সাথে কথা বলতে যায়। তখন পুলিশের এই কর্মকতা তার অধীনস্তদের বলে ভিপি হইছে তো কি হয়েছে, শালা জঙ্গি, জামায়াত-শিবিরগুলোরে পিঠা। ’

 

সাবেক এ ডাকসু ভিপি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে তো প্রায় প্রায়ই আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। কিন্তু এই ডিসি সাজ্জাদুর রহমানের মতো উগ্র পুলিশ অফিসার কখনো দেখি নাই। এই সাজ্জাদেরকে কি তাহলে ভিপি নুর ও তার সংগঠণের নেতা-কর্মীদেরকে দমাতে বিশেষ কারো সুপারিশে আনা হয়েছে?’

 

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের অভিযোগে মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে ভিপি নুরকে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে নুর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় নুর ও তার ৬ সহযোগীকে মৎস ভবনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। রাত ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

 

এরপর রাত পৌনে ১২টার দিকে নুর ও তার সহযোগী সোহরাবকে ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় নুরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে গাড়ির সামনে বসে স্লোগান দেন। নুরের স্ত্রী তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ির সাথে ঝুলে পড়েন। পরে লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে নুরকে নিয়ে যায় পুলিশ। রাত পৌনে ১টার দিকে মুছলেখা দিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পান নুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *