নজর২৪ ডেস্ক- অন্য রকম এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে। দীর্ঘ দুই বছর কর্মকালীন এ পুলিশ সুপারের সুনামের কোনো কমতি ছিল না।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথাগতভাবে বিদায় দেয়া হয় বিদায়ী পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএমকে (বার)।
বিদায়ের আগে এসপি মাসুদ হোসেনকে জেলা পুলিশের ব্যান্ড পার্টিসহ নানা ফুলে সজ্জিত গাড়িতে ফুলের রশি বেঁধে পুলিশ লাইনস থেকে জানানো হয় বিদায়।
স্থানীয়দের মতে, বিদায় নেয়া পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম (বার) কক্সবাজারে সততার দৃষ্টান্ত রেখেছেন। পাশাপাশি নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে মাদক, মানবপাচার, ডাকাতি, জলদস্যুতার মতো জঘন্য ঘটনা অনেকটাই রোধ করেছেন। যে কারণে তার প্রতি জেলাবাসীর আস্তা ও বিশ্বাসের কমতি ছিল না।
কিন্তু ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে হত্যার ঘটনায় সব অর্জন চাপা পড়ে যায়।
টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপের নানা কুকর্ম পুরো বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তার পরও শেষ মুহূর্তে সততার পুরস্কার নিয়ে গেছেন এসপি মাসুদ। কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ অনেক সামাজিক সংগঠন তাকে সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন।
এদিকে স্বাভাবিকভাবে যে কোনো পুলিশ সুপারের বিদায়ের চেয়ে মাসুদ হোসেনের বিদায়টি ছিল ভিন্ন আয়োজনে। তার বিদায় বেলায় গাড়ির সামনের দিকে বাঁধা দুটি রশি গাঁদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ফুলের রশি দিয়ে গাড়ি টেনে তাকে কলাতলি বাইপাসের রাস্তায় তুলে দেন। বিদায়ী পুলিশ সুপারের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।
বিদায়ী পুলিশ সুপারকে শুভেচ্ছা জানান কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইনসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা। এ সময় তাদের মাঝে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে রাজশাহী জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান গতকাল বুধবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি তার কার্যালয়ে যান। এর আগে তিনি ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।