সাইফুল ইসলাম, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি- মধুপুরে বাসন্তী রেমার কলা বাগান কর্তন নিয়ে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় বিক্ষুব্ধ আদিবাসী জনতার আয়োজনে দোখলা রেস্ট হাউজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত বাসন্তী রেমাকে একটি ঘর করে দেওয়া হবে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।”
এডিসি বলেন, “আদিবাসীদের ফসলি জমিতে সামাজিক বনায়নসহ কোন কিছু করা হবেনা ; যা কিছু করা হবে অবশ্যই আদিবাসীদের সাথে আলোচনা করেই করা হবে।”
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন যেত্রা বলেন, “এমন আশ্বাস এর আগেও অনেক দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাস্তবে সেটি করা হয়না বরং উল্টো কাজ করেন বন বিভাগ। তাই হুশিয়ার দিয়ে বলছি ভবিষ্যতে অতীতের মত যদি মিথ্যা আশ্বাস কিংবা প্রতারণা করা হয় তবে আদিবাসীরা দূর্বার আন্দোলন করা হবে।”
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ বলেন, “এই প্রতিশ্রুতি তখন সত্য বলে মানবো যখন এগুলো বাস্তবায়ন হবে। অন্যথায় আমরাও প্রস্তুত রয়েছি প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য।”
এসব আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সার্কেল এসপি, ওসি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সাবেক সভাপতি অজয় এ মৃ, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন যেত্রা, TWA এর সভাপতি উইলিয়াম ধাজেল, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, হেলিন যেত্রা, রিচার্ড বিপ্লব সিমসাং, হেরিত সিমসাং, লিয়াং রিছিল, অনন্ত ধামাই, টনি চিরানসহ প্রমূখ।