নুর অপরাধ করলে বিচার করুন, হয়রানি নয়: ডা. জাফরুল্লাহ

নজর২৪ ডেস্ক- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর অন্যায় করলে তার বিচার করুন। তাই বলে হয়রানি করা যাবে না। তাকে ঘর থেকে বের হতে দেবেন না, এটা হয় না।’

 

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল মিলনায়তনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার হয়রানি এবং সাবেব ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমি খুব বেদনায় আছি যে, আমাদের ভিপি নুর, সে যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। তাই বলে হয়রানি করা যাবে না। তাকে আপনি বের হতে দেবেন না, এটা হয় না। জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না এজন্য দেশে নৈরাজ্য চলছে।’

 

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নুরকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন। হয়রানি বন্ধ করেন। যে হয়রানি আমার ওপরও বিদ্যমান রয়েছে। এখনও আমার মামলা চলছে, আমি মাছ চুরি করেছি! কায়টা মাছ খেতে পারি আমি? সুতরাং প্রধানমন্ত্রী এই জিনিসগুলো বন্ধ করুন। এসব বন্ধ না করলে দেশের জন্য তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ মনে রাখা দরকার দুর্নীতির কোন পর্যায়ে আছি আমরা। সরকার তো নিজেই দুর্নীতি করছে। তারা অন্ধ হয়ে আছে। তার দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে না। ফলে সবার কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। সব চেয়ে বড় দুর্নীতি হলো মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, তাকে কথা বলতে না দেওয়া, তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা।’

 

তিনি বলেন, ‘এই সাত তলা দুইটা বাড়ি, সাত জনের ১০ তলা বাড়ি, কারও শত কোটি টাকা— এর চেয়েও বড় দুর্নীতি আমি মনে করি সরকারের নৈতিক থেকে অবস্থান হয়েছে। এখানে ভোট হয় না। আমি বিচারপতিদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, এই নির্বাচন নিয়ে ৭০টি মামলা হয়েছিল, সেই মামলাগুলোর অবস্থা কী? এই মামলার সঠিক রায়টা দেওয়ার সাহস আপনাদের নেই?’

 

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যখন দেশে অনাচার হয়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, কথা বলার সাহস হারিয়ে ফেলে, তখন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়ায়। এটা আমরা জেনেছি ১৯৫২ সালে, ১৯৭১ সালে। সম্প্রতি দেশের সর্বক্ষেত্রে যখন চূড়ান্ত রকম অব্যবস্থাপনা, তখন ছাত্র অধিকার পরিষদ মাঠে নেমেছে। তাদেরকে পুলিশ মারছে, লাঠিপেটা করছে, আবার মামলাও দিচ্ছে। এ ধরনের স্বৈরাচারনীতি দেশের জন্য কখনো মঙ্গল বয়ে আনে না।’

 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এটা বন্ধ করুন। এটা আপনার স্বার্থেই বন্ধ করা প্রয়োজন। ন্যায়, নীতি, সুষ্ঠু, সুশাসন আপনার জন্যই প্রয়োজন। আজকে ছাত্রদের প্রত্যেকটা দাবি ন্যায়সঙ্গত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *