রাজিব আহমেদ রাসেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সময়ের আলোচিত-সমালোচিত কথিত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নবিয়া খাতুন ওরফে জেমি পারভিনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেমি পারভিনের আপন চাচাতো ভাই মোঃ মান্নান রতন বাদি হয়ে জেমি পারভিনকে একমাত্র আসামি করে শাহজাদপুর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন।
বিচারক আবু খান শাহিন কনক প্রতারণার অভিযোগ গ্রহণ করে সমন ইস্যু করেছেন। আগামী ২৭ অক্টোবর আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
বাদি মোঃ আঃ মান্নান রতনের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ আঃ আজিজ জেল হক নজর টুয়েন্টিফোরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, জেমি পারভিন তার শাহজাদপুরের গারাদহ ইউনিয়নের বাজারঘাটি গ্রামের দুতলা বিল্ডিংসহ ৪ শতক বাড়ি বিক্রির জন্য ২ লাখ টাকা বায়না গ্রহণ করেন। ২৬ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করে গত বছরের ২১ জানুয়ারি ২ লাখ টাকা গ্রহণ করে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বায়না নামা লিখে দেন। বহুদিন অতিবাহিত হলেও বাদিকে জায়গা লিখে দেয়নি, এমনকি বায়নার টাকাও ফেরত দেয়নি।
মামলার বাদি আঃ মান্নান রতন নজর টুয়েন্টিফোরকে জানান, উল্লেখিত জায়গার বর্তমান বাজার মূল্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা হলেও জেমি খাতুন আমাদের কাছ থেকে বাজার দরের চেয়েও বেশি টাকা আদায় করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করে। জেমি খাতুন বিভিন্ন সময় আমাদের হত্যার হুমকিও প্রদান করে।
উল্লেখ্য, আলোচিত এই নারী জেমি খাতুন ওরফে নবীয়া খাতুন বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ও মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পালিত কন্যা ও আওয়ামী লীগের বড় নেত্রী হিসেবে দাবি করতো। এরই দাপটে শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার মানুষদের ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করে। এবং বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে ভুক্তভোগী মানুষদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতো।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে উল্লাপাড়ার সাংসদ তানভীর ইমামকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুক লাইভে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে। এরই ফলশ্রুতিতে সাংসদ তানভীর ইমামের সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলোচিত এই নারীকে গ্রেফতার করে।
জেমি খাতুনের গ্রেফতারের সংবাদে শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়ার ভুক্তভোগী মানুষরা আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করে। তারপর থেকে একে একে বেড়িয়ে আসতে শুরু করে সাধারণ মানুষের উপর জেমি খাতুনের নির্যাতনের চিত্র।