নজর২৪ ডেস্ক- সৌদিয়া এয়ারলাইন্স টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করায় আজও বিক্ষোভ করছেন সৌদি প্রবাসীরা। সেই বিক্ষোভের সূত্র ধরেই রাজধানীর রমনা এলাকার ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছেন তারা। আজ বুধবার সকাল থেকে আবার বিক্ষোভ শুরু করেন প্রবাসীরা। বেলা ১১টার দিকে তারা মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ থেকে ঘোষণা আসে, তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে যাবেন। ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে সাড়ে ৯টার দিকে তারা কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ ধরে মন্ত্রণালয়গুলোর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
প্রবাসীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার এসএম শামীম বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কের একপাশে প্রবাসীরা অবস্থান করছেন।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেয় সৌদি সরকার। সৌদি এয়ারলাইনসকে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানকে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। আর এতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা।
এর আগে মঙ্গলবারও রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী যাত্রীরা। সকাল ১০টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন তারা। ফলে সড়কের দু’পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে দেন।
গত চার দিন ধরেই সৌদি এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করে বিক্ষোভ করছেন যাত্রীরা। জটিলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত সোমবার ঢাকার মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ করেছিলেন সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া প্রবাসীরা। এই জটিলতা শুরু হয়েছে যখন সৌদি সরকার হঠাৎ করেই ঘোষণা দিয়েছে যে শ্রমিকদের সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে সৌদি আরবে ফিরতে হবে।
এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের আকামার মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সৌদি আরবে যাওয়া নিশ্চিত করতে সে দেশের সরকারকে তিন মাসের জন্য আকামার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিক্ষোভরত প্রবাসীরা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সৌদি আরবে যেতে না পারলে তাদের চাকরি হারাতে হবে। কিন্তু তারা সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট পাচ্ছেন না। প্লেনের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগও তোলেন তারা।