নজর২৪, ঢাকা- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাবেক ভিপি নুরকে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ একটি মাইক্রোবাসে তুলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। বেরিয়ে যাওয়ার সময় নুরের সমর্থকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এর আগে রমনা ডিভিশনের ডিসি (ডিবি) এইচ এম আজিমুল হক জানান, নুরের একটু হাপানি সমস্যা ছিলো আগে থেকেই। এজন্য তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নুর সহ সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এদিকে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে নুরকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে ডিবি পুলিশ।
এদিকে নুরের বিরুদ্ধে মামলা এবং আটকের প্রতিবাদে ঢামেক হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ করছেন সাধারণ ছাত্র পরিষদের সমর্থক ও কর্মীরা। দ্বিতীয় দফায় নুরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে গাড়ির সামনে বসে স্লোগান দেন। নূরের স্ত্রী তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে গাড়ির সাথে ঝুলে পড়েন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে নূরকে নিয়ে যায়।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে নুর ও তার সহযোগীরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবনের দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় বিক্ষোভ মিছিল থেকে নুর ও তার ছয় সহযোগীকে রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
নুরকে ধরার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
উল্লেখ্য, রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় ঢাবি ছাত্রীর করা ধর্ষণের মামলার প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এদিকে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত পাঁচজন পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।