আন্তর্জাতিক ডেস্ক- সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার দায়েরকৃত মামলায় সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপে শ্যাম্পে এবং নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক মামলায় সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের আগ্রহ প্রকাশ করায় মামলাটি নতুন করে গতি পাবে।
বিবৃতিতে মন্ত্রীদ্বয় বলেন, গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেওয়া দেশগুলির গণহত্যা ঠেকানোই শুধু উদ্দেশ্য নয় বরং যারা এর জন্য দায়ী তাদেরকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনাটাও তাদের দায়িত্ব।
গাম্বিয়াকে সমর্থন দেওয়ার জন্য গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেওয়া দেশগুলিকে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস পুনরায় আহবান জানায় এই বিবৃতিতে। মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে গাম্বিয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে বলেও দাবি করে।
এই কাজে সহায়তা করা দায়িত্ব মনে করে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় আইনী বিষয়ে দেশ দুইটি সহায়তা করবে এবং বিশেষ করে যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
উল্লেখ্য, গত বছর রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হয়েছে এই মর্মে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। মিয়ানমারে বিরুদ্ধে মামলার মূল উদ্যোক্তা হচ্ছেন গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু।
অনেক দেশই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা করতে পারত। কিন্তু সবাই যখন আহা-উহু করে, নিন্দা জানিয়ে বিষয়টি পার করে দিচ্ছিল, ঠিক তখনই গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া সবাইকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করল।
পরে উভয়পক্ষের শুনানির পরে গত জানুয়ারি মাসে কোর্ট একটি অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেয়। আদেশে মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।