নজর২৪, ঢাকা- জাতিসংঘের ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলায় বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি এ বক্তব্য দেবেন। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের অধিবেশন চলাকালে ২৬ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন। প্রতিবারের মত এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তৃতা দেবেন।
তিনি বলেন, বক্তৃতায় স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ দমনে বিশ্ববাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার আবশ্যকতা, ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, এবং জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত ও দুর্দশা দমনে আমাদের গৃহীত কার্যক্রম প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তির আদান প্রদান, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও স্বার্থ সংরক্ষণ, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, শিশু স্বাস্থ্য ও তাদের অধিকার, শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ, এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়সমূহ উঠে আসবে। তাছাড়া, প্রতিবারের মত রোহিঙ্গা সমস্যা ও তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রাধান্য পাবে।
আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মূল বক্তব্য দেবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বক্তব্যে কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট সাতটি অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে অংশ নেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯, রোহিঙ্গা, জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস, অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।
এবারে ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কারণে কোনও সাইডলাইন বৈঠক হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর জাতিসংঘের ৭৫ বছর পূর্তি। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তিতে অনুষ্ঠিতব্য এই অধিবেশন যেমন বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রাসঙ্গিকতাকে সামনে নিয়ে আসবে, তেমনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আগামী বছরগুলোতে কী ধরনের জাতিসংঘ দেখতে চান সে বিষয়ে তাদের অভিমত, চিন্তাধারা ও পরিকল্পনা তুলে ধরবেন।
কোভিড-১৯ মহামারি দমনে রাষ্ট্রসমূহের সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টিও এবারের অন্যতম আলোচিত বিষয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, এবারের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করতে পারবেন, তেমনি এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য ও অগ্রগতি, নারী উন্নয়ন ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অনুসরণীয় কার্যক্রম, দারিদ্র্য বিমোচনে গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকের বিস্তার রোধ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতন্ত্র ও সুশাসনের ধারা অব্যাহত রাখা ও সর্বোপরি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অবদানের বিষয়ে বিশ্ববাসীকে অবহিত করতে পারবেন।