নজর২৪ ডেস্ক- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ফারজানা আক্তার (২২) নামে এক নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করতে গিয়ে তার নবজাতক সন্তানের পেট কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার সকালে জেলা শহরের কাউতুলী এলাকার দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আঘাত গুরুতর না হলেও ঘটনার পর ক্লিনিক সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দেন। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ক্লিনিকটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
প্রসূতি ফারজানা আক্তার (২২) জেলার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী বাউতলা এলাকার তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্ত্রীর ব্যথা উঠলে রবিবার সকালে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে নিয়ে আসি। শহরে এসে পৌঁছার পর উপায় না পেয়ে এক দালালের খপ্পরে পরে দি আল ফালাহ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাই। হাসপাতালটি অপারেশন করতে সাড়ে ১৬ হাজার টাকায় চুক্তি করে। এরপর সেখানে মারুফা রহমান নামের একজন চিকিৎসক অপারেশন করলে আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। কিন্তু নবজাতকের পেটের একপাশে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা দাবি করেন, ‘নাভি কাটতে গিয়ে কাঁচির আঘাত লেগেছে।’
বিষয়টি জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তারা হাসপাতালে আসেন। তবে তাদের আসার খবর পেয়ে হাসপাতালের মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই পালিয়ে যায়।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালটিতে যাই। হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্স নেই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, শিশুটির পেটে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। তবে তা তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু অদক্ষতার কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিতে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন করা হচ্ছে। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রকার প্যাথলজি টেস্ট করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ হাসপাতালের ল্যাবে পাওয়া গেছে। হাসপাতালটিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে হাসপাতালটিকে।