রাজিব আহমেদ রাসেল: সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৪ মাস ৮ দিন ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে নিরুদ্দেশ থাকা ও চতুরতার সাথে খুঁজে পাওয়ার সকল মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে বেরসিক পুলিশের জালে ধরা পড়লো প্রেমিক যুগল।
জানা যায়, গত ৬ জুন শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের মোঃ তোতা মিয়ার কিশোরী মেয়ে তানিয়া খাতুন (১৬) ও উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ হেলাল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী সাগরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পারি জমায়। পরে কিশোরী তানিয়ার পিতা গত ১৪ জুন বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় সাগর সহ ৬ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
মূল আসামি নিজে আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ায় সাধারণভাবে আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ না করে নতুন একটি আইপি এড্রেস তৈরি করে সবার সাথে যোগাযোগ রাখতো। এই কারণে মামলার আসামি ও অপহৃতার অবস্থান সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। আইন-শৃংখলা বাহিনী দীর্ঘদিন পর তাদের অবস্থান সনাক্ত করতে পারে।
পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক মুস্তাফিজুর রহমান বাবু একজন নারী কনষ্টেবল নিয়ে বগুড়ার শাহজাহানপুরে যায়। পরদিন শাহজাহানপুর উপজেলার শাকপালা গোয়াল গাড়ি এলাকার একটি বাসা বাড়িতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযান চালায়। এসময় অপহৃতা তানিয়া খাতুনকে উদ্ধার ও অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিক সাগরকে গ্রেফতার করে।
শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক মুস্তাফিজুর রহমান বাবু জানান, গতকাল অপহৃতাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং অপহরণকারী সাগরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আজ উদ্ধারকৃত তানিয়া খাতুনকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং আসামি সাগরকে শাহজাদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।