আন্তর্জাতিক ডেস্ক- বাঁশ খুবই পরিচিত ও সহজলভ্য। বাংলাদেশ,ভারত, নেপাল, মিয়ানমারের এক বিস্তীর্ণ অংশে বাঁশ খুবই সহজে জন্মায়, এই অঞ্চলের গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপে বাঁশবন বা বাঁশঝাড় খুবই পরিচিত দৃশ্য। বাঁশগাছের নানা অংশ অনেকে খেয়েও থাকেন। তবে সম্ভবত বাঁশ থেকে বিস্কুট বা কুকি এই প্রথম তৈরি করে দেখালো ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়, বাঁশের তৈরি বিস্কুট নিয়ে গত শুক্রবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার নব মহাকরণে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবী কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘বাঁশ কোড়লের বিস্কুটকে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে প্যাকেজিংয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ ও ত্রিপুরার জনজাতি মানুষের অন্যতম ঐতিহ্য রিশা। বাঁশের তৈরি শিশিতে রাখা থাকবে বাঁশ কোড়লের বিস্কুট। আর তার আবরণ থাকবে রিশার।’
বাঁশের কোড়ল শরীরের জন্য উপকারী জানিয়ে বিপ্লব দেব বলেন, ‘মাল্টি ভিটামিনস, মিনারেলসে পরিপূর্ণ বাঁশের কোড়ল স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এটি ক্যানসার ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইভার থাকায় হজমেও সহায়ক ভূমিকা রাখে।’
বাঁশ দিয়ে মধুও প্যাকেটজাত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যুব সমাজ যদি এ বিষয়ে উদ্যোগী হয় তাহলে কর্মসংস্থানের একটা বড় জায়গা তৈরি হবে। একই সঙ্গে জনজাতিদের প্রধান খাদ্য পৌঁছে যাবে সারা দেশ ও বিশ্বে।’
গত শুক্রবার ছিল আন্তর্জাতিক বাঁশ দিবস। আর এ দিবসেই সংবাদ সম্মেলন করেন বিপ্লব দেব। সিপিএমের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারের আমলে ত্রিপুরার মানুষের কাছে প্রতিদিনই বাঁশ দিবস। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী কখন কী বলেন নিজেই জানেন না। এর আগে বলেছিলেন, শিল্প-কারখানা হওয়ার চেয়ে পশুপালন করলে দ্রুত আর্থিক মুনাফা করা যায়! আজকে বাঁশের গল্প শোনালেন!’
এদিকে, বাংলাদেশে এই বাঁশের তৈরি বিস্কুট রপ্তানি করা হবে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার এক ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের বাজার খুব ছোট। বাঁশের বিস্কুটের মতো পণ্যের চাহিদা ঢাকা বা চট্টগ্রামে খুব ভালো হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আর এখন পণ্যও সেখানে সহজেই পাঠানো সম্ভব।’