নজর২৪, লক্ষ্মীপুর- লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ইছাপুর ইউপির উপ-নির্বাচন ও বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে রামগঞ্জ পৌরসভার সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যাহ মারা যান। তার মৃত্যুতে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের পদ শুন্য ঘোষনা করে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশন। তাই দলীয় প্রাথী চুড়ান্ত করতে শনিবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি কার্যালয়ের সামনে বর্ধিত সভা আহবান করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। মৃত সহিদ উল্যাহর স্ত্রী শাহানাজ আক্তার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এসআই ফারুক হোসেন উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেরদের নাম ঘোষণা দেন। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ে।
বর্ধিত সভায় যাওয়ার জন্য পৌরসভার কার্যালয়ের ভিতরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সফিক মাহমুদ পিন্টু ও পৌর মেয়র আবুল খায়েরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। একই সময়ে পৌরসভার সামনের সড়কে বাহাদুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান ভূইয়ার নেতৃত্বে, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা,ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, ইউপির উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু-গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া,পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।