নজর২৪ ডেস্ক- ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেছিলেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু আড়াই মিনিট বক্তব্য দিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বসে পড়েন ফুটপাতে।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের প্রতিবাদসহ কয়েকটি দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভারতের সমালোচনা করে বক্তব্য শুরু করেন। তবে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আড়াই মিনিট বক্তব্যের পরই অসুস্থ হয়ে ফুটপাতে বসে পড়েন। পরে নিজের প্রাইভেটকারে করে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
৭৯ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত মে মাসের শেষ দিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহকে ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করে কয়েক দফা প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছিল। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়েই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আরেক বর্ষীয়ান নেতা হায়দার আকবর খান রনোকে দেখতে।
এদিকে আজ আড়াই মিনিট বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “ভারত নজর দিয়েছে কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা যায়। আর সেই কারণে আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী না মেনে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সুকৌশলে আমার দেশের দুই নেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশানে এবং শেখ হাসিনাকে আমলা ও ‘র’ দ্বারা আবদ্ধ করে রেখেছে।”
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের জনগণকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়। কিন্তু আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দাঁড়াতে হবে। এভাবে চলতে পারে না। তাদেরকে একটি ফাইনাল ওয়ার্নিং দেওয়া উচিৎ। চলুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের বিরুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধ ঘোষণা করি।’
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।