প্রেট্রোল-ডিজেলে নয়, ব্রিটেনে বিদ্যুতে চলবে গাড়ি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক- যুক্তরাজ্যে ২০৩০ সালের পর থাকছে না কোন প্রেট্রোল ও ডিজেল চালিত যানবাহন। পরিবেশ রক্ষায় দেশটির সরকার ইতোমধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার শুরু করেছে। দূষণমুক্ত পরিবেশ তৈরীতে ‘‘বিল্ড ব্যাক গ্রিনার‘‘নামে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০৩৫ সাল। লক্ষ্য বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের পর জ্বালানি চালিত সবধরনের ইঞ্জিন বিক্রি বন্ধের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।

 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে বিট্রেন তাদের পাশ্ববর্তী দেশ আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও সুইডেনের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। ইউরোপের এই দেশ গুলো ২০৩০ সালের মধ্যে জালানি নির্ভর গাড়ি বাতিল করতে যাচ্ছে।

 

কোভিড-১৯ মহামারীর পর ‘‘বিল্ড ব্যাক গ্রিনার‘‘ কর্মসূচির আওতায় এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের শতাধিক এমপি। দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কমিটি মন্ত্রীদের আরো আগেভাগে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

জানা গেছে ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস নিজেও বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করছেন এবং এর আগে তিনি ২০৩২ সালের মধ্যে জালানি নির্ভর গাড়ি তুলে দিতে চেয়েছেন। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্রিটেনে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির পরিমান মাত্র ৪.৭ শতাংশ।

 

করোনা মহামারির পর দ্রুত বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে প্রযুক্তি এবং পুঁজি স্থানান্তরে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্টানগুলোর পক্ষে কতটা সম্ভব তা ভেবে দেখার বিষয়। এছাড়া বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে তা বিদ্যুৎ চাহিদার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এমন প্রশ্ন অনেকের । তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রকল্পের পরিচালক গ্রামি কুপার জানিয়েছেন চাহিদার সঙ্গে বিদ্যুতের যোগান দেয়া সম্ভব, এতে কো্ন সমস্যা হবেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *