নজর২৪ ডেস্ক- দেশের বাইরে ইলিশ রফতানি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক জোরদার রাখতে গত দুই বছর ধরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় উৎসব পূজা উপলক্ষে ইলিশ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও গত তিন দিনে ভারতে ১৯৭ মেট্রিকটন ইলিশ রফতানি করেছে বাংলাদেশ।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা যায়, পূজা উপলক্ষে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে গেলো তিন দিনে ১৯৭ দশমিক ৯ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বুধবার ৯৩ দশমিক ছয় মেট্রিক টন ইলিশের চালান পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এর আগে গেল সোমবার ৪১ দশমিক ৩ মেট্রিক টন ও গতকাল মঙ্গলবার ৬৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়। আজ বুধবার ইলিশের চালানটির রপ্তানিকারক ছিলেন ঢাকার রিপা এন্টারপ্রাইজ ও খুলনার জাহানাবাদ সি ফিস লিমিটেড। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৮০০ টাকা। এই দরে রপ্তানি করা প্রতিটি ইলিশের সাইজ ছিল এক কেজি থেকে ১২০০ গ্রাম ওজনের।
মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও বেনাপোল ফিসারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার ৯ জন রপ্তানিকারককে মোট এক হাজার ৪৭৫ টন ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার দরে মোট এক লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ বছর ভারতে মোট এক হাজার ৪৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হবে।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শামিম হোসেন বলেন, প্রতি কেজি ১০ ডলার শুল্কমুক্ত সুবিধায় এ ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
এদিকে ভারতে ইলিশ রফতানি হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। গত সপ্তাহে যে ইলিশের কেজি ছিল ৬০০ টাকা তা রাতারাতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার টাকায়।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বন্ধুত্বের কারণে নিজেদের সংকট থাকা সত্ত্বেও পূজাতে বাংলাদেশ ভারতকে ইলিশ দিচ্ছে কিন্তু ভারত নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার পেঁয়াজ বন্ধ করে দিয়েছে। এমন আচরণে বাংলাদেশিরা কষ্ট পেয়েছেন।