আন্তর্জাতিক ডেস্ক- জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সৌদি আরবের নিন্দায় সোচ্চার হলো ২৯টি দেশ। নারী অধিকার কর্মীদের আটকে রাখা এবং সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদির ভূমিকার নিন্দা জানিয়েছে দেশগুলো। ২৯টি দেশের অধিকাংশই পশ্চিমা দেশ।
ডয়েচে ভেলে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব অন্তত পাঁচজন নারী অধিকার কর্মীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। তাদের মধ্যে মেয়েদের গাড়ি চালাতে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার লুইজিন আলহ্যাথলোলও আছেন। ২০১৮ পর্যন্ত সৌদিতে মেয়েদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ ছিল।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ২৯টি দেশ যৌথ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘সৌদি আরবে যথেচ্ছভাবে মানুষকে আটক করা, তাদের নির্যাতন করা, আটকদের উধাও হয়ে যাওয়া, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে না দেয়ার মতো অমানবিক ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ।’
ইইউ-র পক্ষ থেকে কাউন্সিলে কথা বলেন জেনেভায় জাতিসংঘে জার্মানির দূত উর্গেন স্টেনবার্গ। তিনি সৌদি আরবকে অবিলম্বে আটক নারী অধিকার কর্মীদের মুক্তি দিতে বলেন।
খাসোগি হত্যা মামলায় আরো স্বচ্ছতা আনারও দাবি জানিয়েছেন স্টেনবার্গ। সম্প্রতি খাসোগি মামলায় আটজন দোষী বলে রায় দিয়েছে সৌদি আদালত। সৌদি সরকার জানিয়েছে, এই হত্যার সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমনের কোনো যোগসূত্র নেই। কিন্তু এই ২৯টি দেশের দাবি, সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যার বিষয়ে সৌদি আরবকে আরো স্বচ্ছ হতে হবে ও প্রকৃত তথ্য জানাতে হবে।
সৌদি আরব ২০১৭ থেকে ১৯ পর্যন্ত মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য ছিল। দেশটি আবারো সদস্য হতে চায়। মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, সৌদিকে আগে কাউন্সিলের সুপারিশ মানতে হবে। তারপর তারা যেন সদস্য হওয়ার কথা ভাবে।