নজর২৪ ডেস্ক- অস্ত্র আইনে করা মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে এ দাবি করেন তিনি।
এ সময় আদালত তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি সাফাই সাক্ষী দেবেন কি-না। উত্তরে সাহেদ বলেন, আমি সাফাই সাক্ষী দেব না। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ বলেন, ‘আমার কাছে থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রিজেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ১৮ জুলাই রাতে সাহেদকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তার একটি গাড়ি থেকে গুলিসহ একটি পিস্তল এবং কিছু মাদক জব্দ করা হয়।
ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে এই মামলা করে পুলিশ। এরপর গত ৩০ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইরুল ইসলাম। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত ২৭ অগাস্ট এই মামলায় অভিযোগ গঠন করে সাহেদের বিচার শুরুর আদেশ দেন একই বিচারক। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করা হয়। গত ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করোনা টেস্ট প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করে র্যাব।
মামলায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।