মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ, মুন্সীগঞ্জ থেকে- দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ দেশের সকলের পরিচিত শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটে আবারও ফের ফেরী চলাচল শুরু হয়েছে।
নব্যতা সংকটের কারণে টানা ৮ দিন বন্ধ থাকার পর গেল শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টায় ২ ঘন্টার জন্য ফেরী চলাচল করলেও তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গেল রোববার সাড়ে ৯ টায় ঘোষণা দিয়েই বিআইডব্লিউটিসি কতৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নৌ-রুটে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে বন্ধের ঘোষণার মাত্র ২ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র রায় ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক ও টিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া, ড্রেজিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিনসহ সংশ্লিষ্টরা প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী এ নৌ-রুটের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আপাতত ২৮ কিলোমিটার পথ পালের চরের চ্যানেল দিয়ে ফেরী চলাচল করবে। তবে আমরা চেষ্টা করছি লৌহজং টানিং দিয়ে ফেরী চালানো যায় কিনা। তবে আশা করছি আগামীকাল থেকে এ চ্যানেলটি দিয়ে ফেরী চলাচল শুরু করতে পারবে।
এছাড়াও বিকল্প পথ হাজরা চ্যানেল চালু করারও পরিকল্পনা আছে তবে এটি অনেক সময় লাগবে।
এদিকে নৌ-সচিবের ঘোষণা মাত্র ১ ঘন্টা পরেই শিমুলিয়া ঘাট থেকে ক্যামিলিয়া নামের একটি কেটাইপ ফেরী পালের চরের চ্যানেল দিয়ে কাঠালবাড়ীর উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়, তবে এটি পৌঁছাতে প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগবে বলে ফেরী মাষ্টাররা জানান। এটি ঔপার পৌছালে ছোট ও অন্যন্য ফেরীগুলো চালু হবে বলে জানা যায়।
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা পরিবহন চালক ও শ্রমিক ও যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে। কবে নাগান এ ভোগান্তি শেষ হবে এর উত্তর জানা নেই কারো। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এ নৌ-রুটে।