প্রেমের সঙ্গী কি বিয়ের জন্য উপযুক্ত? জেনে নিন কিছু লক্ষণে

লাইফস্টাইল ডেস্ক- প্রেম মানেই সঙ্গীর সঙ্গে নিয়ম করে দেখা করা, ঘুরে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে খাওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখা ইত্যাদি। যা এক ভিন্ন জগৎ তৈরি করে দুজনের মধ্যে। এই সময় প্রেমিক-প্রেমিকা দুজন দুজনের অনেক ব্যাপারই মেনে নেন, যা তাদের পছন্দের তালিকাতেও থাকে না। তারপরও কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। অনেকদিন হয়ে গেলো প্রেম করছেন, সম্পর্কটাকে বিয়ে পর্যন্ত গড়ানোর সময় এসেছে। আপনার ছোট-খাটো পছন্দ, আবদার, জেদ সবকিছু পূরণেই সে কোনো কমতি রাখে না। সে আপনাকে ভালোবাসে, তার সঙ্গে থাকলে সময় কখন পার হয়ে যায় বোঝাই যায় না।

 

তবে এই গুণগুলো কি তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার ক্ষেত্রে যথেষ্ট? জীবনসঙ্গী হিসেবে কি সে ভালো হবে, নাকি সবই মরীচিকা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা বেশ কঠিন, কারণ এর উপরই নির্ভর করবে আপনার বাকি জীবনটুকু। এক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে। তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। যা সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

 

আপনাকে মেনে নেয়া

আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা কি আপনার অতীত সম্পর্কে সবকিছু জানে? আপনার আজগুবি অভ্যাস কিংবা শখগুলোকে কি সে মেনে সাদরে গ্রহণ করতে পারে? আপনার গায়ের রংটা তার পছন্দ? যদি উত্তর ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে শূভ কাজে দেরি করতে নেই। আর যদি ‘না’ হয়, তবে সময় নিন, ভাবুন।

 

তার অনুভূতি

আপনি হয়ত মন প্রাণ উজাড় করে তাকে ভালোবাসেন, সেও কি তাই? এক হাতে যেমন তালি বাজে না, তেমনি একতরফা ভালোবাসা দিয়ে সংসার করা যায় না। তাই আপনার প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার আপনার প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে।

 

আর্থিক স্বচ্ছলতা

দামি উপহার দেয়া, বিলাশবহুল রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো মানেই আপনার প্রেমিক আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নাও হতে পারে। দেখতে হবে এসবের পয়সার যোগান কার? বিয়ে তাকেই করা উচিত যে তার পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে এবং আর্থিকভাবে সমর্থ। আবার আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখার গুণও তার থাকা চাই। আপনাকে উপহার দেয়ার জন্য যদি আরেকজনের কাছ থেকে ধার করতে হয়, তবে সংসার সুখের না হওয়ারই কথা।

 

সহযোগী মনোভাব

মুখে বলা সহজ, কাজে দেখানো কঠিন। অফিসের কাজের চাপে আপনি যখন অতিষ্ঠ, তখন প্রেমিক কিংবা প্রেমিকা কি সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য গাল ফুলিয়ে বসে থাকে? নাকি আপনাকে কাজে মনযোগ দিতে উৎসাহ দেয়! রাতে বাসায় ফেরার সময় প্রেমিক বা প্রেমিকা কি আপনার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত? নাকি দেখা করতে না পারার জন্য আপনার অফিসকে দুষতে ব্যস্ত? একজন সহযোগী সঙ্গী যেকোনো সমস্যায় আপনার পাশে থাকবে, সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।

 

মূল্যায়ন

সম্পর্কের জন্য আপনার অবদানগুলো সঙ্গীর অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত। প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার প্রিয় খাবার রান্না করা, অফিস থেকে বাসায় পৌঁছে দেয়া, কাজ শেষে ক্লান্তি দূর করার জন্য আপনাকে কফি খেতে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে মূল্যায়ন করবে, জীবনসঙ্গী হিসেবে সেই আদর্শ। তবে এগুলোকে যদি দায়িত্ব মনে করে, তবে আপনার কপালে দুঃখ থাকতে পারে।

 

জীবনযাত্রা

বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই ভবিষ্যত সঙ্গীর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত। সেকি রগচটা? নিজে মানসিক চাপে থাকলে তার আক্রোশ কি আপনার উপরেও পড়ে? অকারণেই অস্বস্তিতে ভোগে? অস্বস্তি সমাধানের চেষ্টা না করে পালিয়ে বাঁচতে চায়? ধূমপান, মদ্যপানের অভ্যাস আছে? থাকলে তা কোন মাত্রার? দুটি মানুষ বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটাতে হলে এই বিষয়গুলোও আপনাকে ভাবতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *