জামালপুর প্রতিনিধি- বকশীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত নেই। ফলে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার ভবনে বসবাস করছে পোকা মাকড়। মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে দক্ষিন বাজার মোড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয়। প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করেন এলজিইডি। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৮ সালে এলজিইডি ভবনটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে বুঝিয়ে দেয়া দেয়। একই সনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ এমপি ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ভবনের সামনেই রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনীয় ম্যুরাল।
তিনতলা ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় মার্কেট। মার্কেট ভাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের প্রাথমিক খরচ যোগান দেওয়ার কারণেই মার্কেট করা হয়। তিন তলায় রয়েছে অফিস কক্ষ ও বিশাল আকৃতির কনফারেন্স রুম। আসবাবপত্রসহ উন্নত সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। কিন্তু ভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত নেই। সারা বছর ভবনটি থাকে তালাবদ্ধ। মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে স্বল্প সময়ের জন্য শুধু মাত্র ভবনটি খোলা হয়। সেই দুই দিন মুক্তিযোদ্ধা ভবনে জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উঠে। পয়পরিস্কারও করাও হয় বছরের সেই দুই দিন। বাকী দিন গুলো নোংরা আবর্জনায় ডুবে থাকে।
ভবনের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও পরিস্কার করা হয়না। ম্যুরালের চার পাশে ৩/৪ ফুট লম্বা আগাছা জন্মে ঢেকে যায়। একইভাবে ভবনে মুক্তিযোদ্ধা ও মার্কেট চালু না করায় ভবনের ভেতরে পোকামাকড় বসবাস করে আসছে। অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ভবন ও ভবনের মালামাল। মার্কেট চালু না করায় কয়েক লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান বলেন,সরকার প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান করে দিয়েছেন। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পদচারনা থাকলে ভবনটির প্রাণ ফিরে পাবে। থাকবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। সাধারণ মানুষজন সেখানে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আলহাজ মফিজ উদ্দিন বলেন, নানা কারণে দীর্ঘদিন যাবত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। নির্বাচন হলেই মুক্তিযোদ্ধাদের সমাগম বেড়ে যাবে। নির্বাচনের নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের মার্কেট ভাড়া দেয়া হবে।