সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: যৌতুক হিসাবে বাবার বাড়ি শ্বশুরের নামে লিখে না দেওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় নার্গিস খাতুন (৩০) নামে এক পুত্রবধূকে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতাবস্থায় নার্গিসকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নার্গিস উল্লাপাড়া উপজেলার উধুনিয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ইব্রাহিমের মেয়ে ও একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নার্গিস খাতুন অভিযোগ করে জানান, তার শ্বশুর হাবিবর রহমানের নামে বাপের বাড়ির জায়গা লিখে না দেওয়ায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় তার পাশে স্বামী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় ১১ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। স্বামী শফিকুলের ইচ্ছা না থাকলেও শ্বশুর হাবিবর রহমান, ভাসুর জামাল ও শাহাদত যৌতুকের জন্য নার্গিসকে ও তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করেন। যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় প্রায়ই নার্গিসকে নির্যাতন করা হত। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে যৌতুক হিসাবে নার্গিসের বাবার বাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শ্বশুরসহ তার স্বজনরা। এতে অস্বীকার করায় শ্বশুর হাবিবর ও দুই জা’সহ বাড়ির অন্যরা তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে কাঁচি দিয়ে ওই গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়া হয়।
স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, ভালোবেসে নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করার কারণেই ক্ষুব্ধ বাবা হাবিবর রহমান। যার কারণে তাদের ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালান তার বাবা ও পরিবারের অন্যরা।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামিমুল ইসলাম জানান, রোগীর মাথা, হাতসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে ।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক কুমার দাস জানান, গৃহবধূ নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।