কাঠের মই বেয়ে উঠতে হয় কোটি টাকার ব্রিজে!

নজর২৪ ডেস্ক- জামালপুরের বকশীগঞ্জ-মেরুরচর সড়কের আউলপাড়া খালে ব্রিজ আছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। ভারী বর্ষণে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এখন কোটি টাকার ব্রিজ সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসছে না। বর্তমানে ব্রিজের উপরে উঠতে হলে মই ব্যবহার করতে হয়। এতে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে মেরুরচর গ্রাম পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ২০১৭ সালের বন্যায় বকশীগঞ্জ-মেরুরচর সড়কের আউলপাড়া এলাকায় ব্রিজটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৮ সালের বন্যায় ব্রিজটি পুরোপুরো ভেঙে যায়। এতে করে বকশীগঞ্জ উপজেলা সদরের সাথে মেরুরচরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

এলাকাবাসীর দাবির পরিপেক্ষিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বন্যা দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে ২২ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজটির ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালে মাঝামাঝি সময়ে ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন হয়। তবে এখন পর্যন্ত ব্রিজটির কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

 

এলাকাবাসী ওই ব্রিজের ওপর দিয়েই যাতায়াত করে আসছিল। গত বন্যা ও ভারী বর্ষণে ব্রিজের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধসে যাওয়া মাটি ভরাট না করায় মেরুরচর, ফকিরপাড়া-কলকিহারা-বাগাডুবা ও ইসলামপুরের কাছিমারচর এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

 

ইউপি সদস্য ছামিউল হক জানান, ব্রিজের দুই পাশে মাটি না থাকায় যাতায়াতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী।

 

মেরুরচর গ্রামের স্কুলশিক্ষক নুর ইসলাম জানান, বন্যা ও প্রবল বৃষ্টির কারণে ব্রিজটির দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অসুস্থ রোগী নিয়েও উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে পারে না এ এলাকার মানুষ। বর্তমানে ব্রিজের উপরে উঠতে হলে কাঠের মই ব্যবহার করতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান দরকার।

 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভারী বর্ষণের কারণে ব্রিজটির দুই পাশে মাটি সরে গেছে। বিষয়টি আমি অবগত আছি।’

 

তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *