নজর২৪, নরসিংদী: নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর ঠেকাতে আসা বাড়িওয়ালা ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বাদল মিয়া নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কুমরাদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বাদল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন বাদল মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার (৪৫), বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলাম (৬০) ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০)। আহতরা হলেন-বাদল মিয়া ও নাজমা দম্পতির ছেলে সোহাগ (১৫) এবং বাড়িওয়ালার মেয়ে কুলসুম (২৩)।
পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানায়, ৮/৯ বছর আগে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া এলাকার কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের দুলালপুর এলাকার নাজমা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তারা তাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।
রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে নাজমা বেগম ও বাদল মিয়ার মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বাদল নাজমা বেগম ও নাজমার আগের সংসারের ছেলে সোহাগকে কুপিয়ে আহত করে। সেসময় নাজমার আগের সংসারের আরেক ছেলে নাদিম পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে ওই ঘরে প্রবেশ করলে বাদলের সাথে ধস্তাধস্তি হয়।
তাদের চিৎকার শুনে বাড়ি মালিক তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে বাদল। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত তাজুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায়।
এদিকে, আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শিবপুর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্বামী বাদল মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।