নদীর পাড়ে কাদামাটি আঁকড়ে পড়ে আছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান— বছর খানেক আগে এ রকম একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন—ইহা একটি শীতের সকাল অব পিরোজপুর।
মূলত, জায়েদ তখন নিজের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরে ‘সোনার চর’ ছবির শুটিং করছিলেন। সেখানেই চরিত্রের প্রয়োজনে এভাবে কাদামাটি আঁকড়ে শট দিয়েছিলেন। কেউ কেউ ছবিটি নিয়ে ট্রল করলেও তার অনুরাগীরা এটাকে ‘ডেডিকেশন’ বলে বাহবা দিচ্ছিলেন। সিনেমাটি দেখার আগ্রহও প্রকাশ করছিলেন তারা।
নতুন খবর হলো, ‘সোনার চর’ ছবিটি এবার মুক্তির মিছিলে। রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে আসবে সিনেমাটি। এ উপলক্ষে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে এ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রকাশ করা হয় ‘সোনার চর’ ছবির ট্রেলার ও পোস্টার। যারা জায়েদের সমালোচনা করেন ছবিটি দেখে তারাও প্রশংসা করবেন বলে মনে করছেন নায়ক।
তিনি বলেন, “অনেক সিনেমা দেখা যায় ঈদে ঘোষণা দিয়ে মুক্তি পায় না। আমি প্রযোজককে এখনও বলছি, সিনেমাটির মুক্তি যেন না পিছিয়ে যায়। আমরা সিনেমাটির সঙ্গে আছি। প্রযোজকের এই উৎসাহ আমাদের মনোবলকে আরও দৃঢ় করেছে। আমি বিশ্বাস করি ‘সোনার চর’ সবার ভালো লাগবে। যে কষ্ট করেছি সিনেমাটি নিয়ে। এবার নিন্দুকের সমালোচনা অনেকটাই কেটে যাবে। যারা আমার সমালোচনা করেন। কাজ দিয়েই তারা প্রশংসা করবেন। আমি কৃতজ্ঞ পরিচালকের কাছে।”
জায়েদ আরও বলেন, ‘সিনেমাটির জন্য আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আপনারা জানেন কনকনে শীতের মধ্যে তিন দিন কাদার মধ্যে শুটিং করতে হয়েছে। সেই সময় আমার ঠান্ডা লেগেছিল। সেই দৃশ্য আপনারা দেখেছেন। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। এ ছাড়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার সাঁতার কাটতে হয়েছিল। অনেক পরিশ্রম করেছি সিনেমাটির জন্য। আমাদের পরিচালক জাহিদ হোসেন ভাই অনেক যত্ন নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন।’
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে দেখানো হবে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ফিরে আসার সময়ের গল্প। মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান। তিনি জানান, তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে শ্রম দিয়ে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন।