বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত এবং নীতির সঙ্গে একমত হতে না পেরে পদ থেকে পদত্যাগের চিঠি দিয়েছেন সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। ঠিঠি পেয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন সাইমন।
সাইমনের অব্যাহতির বিষয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘বর্তমান সমিতির মেয়াদই তো শেষের পথে। ফেব্রুয়ারিতে আবার নতুন নির্বাচন। এখন আর অব্যাহতি চাওয়ার কী আছে!’
সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে, সেখানে শিল্পী সমিতির নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছেন সাইমন। এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সাইমন নিজেও তো এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কই যেসব বিষয়ে এখন তিনি কথা বলছেন, সেগুলো তিনি কমিটির মিটিংয়ে বসে বলেননি কেন? সমিতির পক্ষে তারও তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে। এগুলো তো তিনি কখনো উপস্থাপনই করেননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, আমদানি ছবির সাথে এখন তার ছবি মুক্তি পেয়েছে বলেই হঠাৎ প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। না হলে আগে কেন তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হলেন না। তিনিও তো গুরুত্বপূর্ণ নেতা, তিনি আগে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কেন?’
এদিকে পদত্যাগের কারণ হিসেবে শিল্পী সমিতির সভাপতি বরাবর লিখা চিঠিতে সাইমন বলেছেন, আমি সাইমন সাদিক। আপনার নেতৃত্বাধীন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেয়া কিছু সিদ্ধান্তে ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না।
বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার উল্লিখিত শেষ বাজি সিনেমাটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আর একটি সিনেমা শিল্পী এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কে আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে।
এসব বিষয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক ও অনুচিত মনে করছি। তাই সহ সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি চাইছি। তবে আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাবো।