ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। পর্দায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই চরিত্রেই দেখা গেছে তাকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেতিবাচক চরিত্রে দেখা মিলেছে তার। পর্দার মিশা আর বাস্তবের মিশার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। যতটা নেতিবাচক ও হিংস্র, বাস্তবেই ততটাই ইতিবাচক ও মানবিক। এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন তুখোড় প্রেমিক। তার প্রেমকাহিনি যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
টানা ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছেন মিশা। তার স্ত্রীর নাম মিতা। দাম্পত্য জীবনে নিজেদের ভালোবাসাকে অটুট রাখতে কেউই ছাড় দেন না। তবে স্ত্রীর প্রতি মিশার ভালোবাসার দারুণ একটি প্রমাণ মেলে ‘মিশা’ নামটিতে।
আজ মিশা-মিতা দম্পতির ৩০তম বিবাহবার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। আজ দিনভর মিশা সওদাগর ও তার স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাদের কাছের মানুষরা।
স্ত্রী মিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিশা সওদাগর তার ফেসবুকে লেখেন, ৩০ বছর পার করার পর আমার উপলব্ধি হচ্ছে, মানুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে তার মা। আর একজন পুরুষের কাছে শ্রেষ্ঠ সম্পত্তি হচ্ছে স্ত্রী। যে তার মানসম্মান, অর্থ প্রতিপত্তি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা, সন্তান-সন্ততির আমানত হিসেবে রক্ষা করে। তোমার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা, অনেক ভালোবাসা। আমাকে আজকের দিনে কবুল করার জন্য তোমার কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। শুভহোক বিবাহবার্ষিকী।
মিশা-মিতা দম্পতির দুই পুত্র সন্তানের জনক। তারা আমেরিকাতে থাকেন। আর সুযোগ পেলেই মিশা সেখানে উড়াল দেন স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে।
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মিশা সওদাগরের ডজন খানেরক সিনেমা। এরমধ্যে নির্মাতা বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’, শাহীন সুমনের ‘কুস্তিগির’ শুটিং শেষ করেছেন মিশা।
এছাড়া দেবাশীস বিশ্বাসের ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, মোহাম্মাদ ইকবালের ‘রিভেঞ্জ’-‘ডেড বডি’, রায়হান খানের ‘পায়েল’, রোমানের ‘লিপস্টিক’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ডার্ক ওয়ার’ শুটিং শুরু করেছেন এই খল অভিনেতা।